Dhaka 10:47 am, Wednesday, 8 October 2025
Notice::
আপনার বিজ্ঞাপন দিন।।। আমাদের সাথেই থাকুন..., রূপধারা রিয়েল এস্টেট লিঃ,  স্বপ্নের ঠিকানা হাতের নাগালে,  নিজের একটি ঘর—এটা শুধু চার দেয়াল নয়, এটা আপনার পরিবারের নিরাপত্তা,  ভালোবাসা আর ভবিষ্যতের ভিত্তি।   রূপধারা রিয়েল এস্টেট লিঃ আপনার জন্য নিয়ে এসেছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রকল্প—,  নিরাপদ ও পরিকল্পিত জমি, আধুনিক অবকাঠামো,   সহজ কিস্তি ব্যবস্থা,৷  প্রধান সড়কের নিকটবর্তী অবস্থান,  আপনার স্বপ্নের ঘর বা বিনিয়োগের সঠিক জায়গা ,  যোগাযোগ: +8801859424469, +880 2-47120428, অফিস ঠিকানা: ৪৭ দিলকুশা,বা/এ মতিঝিল, ঢাকা -১০০০, ইমেল : shadhinholdings1@gmail.com
Breaking News ::
দেশে ডেঙ্গুর প্রভাব কমলেও হাসপাতালে ভর্তি নতুন রোগী ২৬৩ প্রিয় দেশবাসী, আজ দীর্ঘ ৫ দিন পর আমরা ফিরে পেয়েছি আমাদের প্রিয় পেইজ — the Daily Shadhin ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বুয়ালয়’, ভিয়েতনামে তীব্র আঘাতের আশঙ্কা উপদেষ্টা পদ নিয়ে অনিশ্চয়তায় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম রিসোর্টে অভিযান জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘হৃদয়ে শহীদ জিয়া’ কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা শুটিংয়ের কথা বলে মডেলকে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ, রিসোর্টে অভিযান মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলন বিএনপির দাবি: মির্জা ফখরুল কোনো ভারতীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেননি ফিলিস্তিন ইস্যুতে নতুন মোড়: একের পর এক স্বীকৃতি, বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপ

রাজশাহীতে ঋণের চাপে স্ত্রী-সন্তান হত্যার পর দিনমজুরের আত্মহত্যা

Correspondent:
  • Update : 08:42:33 pm, Friday, 15 August 2025 36 Views

রাজশাহীর খড়খড়ি এলাকায় ভয়াবহ এক ঘটনা ঘটেছে। ঋণের চাপ ও অভাব-অনটনে জর্জরিত হয়ে মিনারুল ইসলাম (৩৫) নামে এক দিনমজুর স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে হত্যা করে নিজেও প্রাণ দিয়েছেন। শুক্রবার সকালে দুটি আলাদা ঘর থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া দুই পৃষ্ঠার হাতে লেখা চিরকুটে মিনারুল উল্লেখ করেছেন— ঋণের দায় ও আর্থিক কষ্টই এই মর্মান্তিক ঘটনার মূল কারণ। তিনি লিখেছেন, পরিবারের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় এবং অনুরোধ করেছেন, তাঁর বড় ভাইয়ের পরিবার যেন মরদেহ না দেখে কিংবা জানাজায় অংশ না নেয়।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের সবাই খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে মিনারুল প্রথমে স্ত্রী মনিরা বেগম (৩০), এরপর অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছেলে মাহিম (১৪) ও দেড় বছরের মেয়ে মিথিলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে অন্য ঘরে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন। সকালে দরজা না খোলায় তাঁর মা খোঁজ নিতে গিয়ে মরদেহ দেখতে পান এবং চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন।

স্বজনদের ভাষ্য, মিনারুল সংসারে শান্তিপূর্ণ ছিলেন, কোনো দাম্পত্য বিরোধ ছিল না। তবে তিনি এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি শোধে চাপের মধ্যে ছিলেন। শাশুড়ি জানান, তাঁর জামাই দুটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন এবং কিস্তির টাকা জোগাড়ে কষ্ট করতেন। মিনারুলের বাবা জানান, আগের ঋণ জমি বিক্রি করে শোধ করা হলেও নতুন করে ঋণ নেওয়ার বিষয়টি তিনি জানতেন না।

এ ঘটনায় গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। চারজনের মৃত্যু দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ জড়ো হন। খবর পেয়ে মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু সুফিয়ান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা হিসেবে ধারণা করা হলেও ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হবে। ঘটনাটি তদন্তে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।

Share This News

Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save your email and other information.

Uploader information
Tags :
UPDATE :

রাজশাহীতে ঋণের চাপে স্ত্রী-সন্তান হত্যার পর দিনমজুরের আত্মহত্যা

Update : 08:42:33 pm, Friday, 15 August 2025

রাজশাহীর খড়খড়ি এলাকায় ভয়াবহ এক ঘটনা ঘটেছে। ঋণের চাপ ও অভাব-অনটনে জর্জরিত হয়ে মিনারুল ইসলাম (৩৫) নামে এক দিনমজুর স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে হত্যা করে নিজেও প্রাণ দিয়েছেন। শুক্রবার সকালে দুটি আলাদা ঘর থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া দুই পৃষ্ঠার হাতে লেখা চিরকুটে মিনারুল উল্লেখ করেছেন— ঋণের দায় ও আর্থিক কষ্টই এই মর্মান্তিক ঘটনার মূল কারণ। তিনি লিখেছেন, পরিবারের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় এবং অনুরোধ করেছেন, তাঁর বড় ভাইয়ের পরিবার যেন মরদেহ না দেখে কিংবা জানাজায় অংশ না নেয়।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের সবাই খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে মিনারুল প্রথমে স্ত্রী মনিরা বেগম (৩০), এরপর অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছেলে মাহিম (১৪) ও দেড় বছরের মেয়ে মিথিলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে অন্য ঘরে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন। সকালে দরজা না খোলায় তাঁর মা খোঁজ নিতে গিয়ে মরদেহ দেখতে পান এবং চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন।

স্বজনদের ভাষ্য, মিনারুল সংসারে শান্তিপূর্ণ ছিলেন, কোনো দাম্পত্য বিরোধ ছিল না। তবে তিনি এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি শোধে চাপের মধ্যে ছিলেন। শাশুড়ি জানান, তাঁর জামাই দুটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন এবং কিস্তির টাকা জোগাড়ে কষ্ট করতেন। মিনারুলের বাবা জানান, আগের ঋণ জমি বিক্রি করে শোধ করা হলেও নতুন করে ঋণ নেওয়ার বিষয়টি তিনি জানতেন না।

এ ঘটনায় গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। চারজনের মৃত্যু দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ জড়ো হন। খবর পেয়ে মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু সুফিয়ান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা হিসেবে ধারণা করা হলেও ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হবে। ঘটনাটি তদন্তে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।