Dhaka 5:58 pm, Wednesday, 10 September 2025
Notice::
আপনার বিজ্ঞাপন দিন।।। আমাদের সাথেই থাকুন..., Shadhin Holdings Ltd. , Land Wanted (Purchase Only) ,  We are purchasing suitable land in Bangladesh for our upcoming development projects  ,  Preference: Prime & Potential Locations ,  Contact: +880 2-47120428 ,  Email: shadhinholdings1@gmail.com,   Shadhin Holdings Ltd., সারা দেশে জমি ও সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়, রাজধানী ও জেলার প্রিমিয়াম লোকেশনে জমি,  ফ্ল্যাট, বাড়ি ও বাণিজ্যিক প্লট,  ১০০% নিরাপদ লেনদেন ও আইনগত সহায়তা,  আপনার বাজেট অনুযায়ী সেরা প্রপার্টি, জমি বা সম্পত্তি কিনতে চান? বিক্রি করতে চান? আপনার বিশ্বস্ত সঙ্গী Shadhin Holdings Ltd.,যোগাযোগ করুন আজই: ফোন: +880 2-47120428,  ইমেইল: shadhinholdings1@gmail.com
Breaking News ::
একবিংশ শতাব্দীতে মধ্যযুগীয় বর্বরতা  তারেক রহমানের নির্দেশে বোরহানউদ্দিন পৌর বিএনপির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ঐক্যের বার্তায় বোরহানউদ্দিনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বোরহানউদ্দিনে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচি গাইবান্ধায় নববধূকে বাসর রাতে দলবদ্ধ ধর্ষণ, স্বামীসহ ৭ জন আটক তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছে, বন্যার শঙ্কা উত্তরাঞ্চলে কাকরাইলে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের সংঘর্ষ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা: ফেব্রুয়ারিতে হবে জাতীয় নির্বাচন, আমি কোনো পদে থাকব না সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জাতি ঐক্যবদ্ধ: তারেক রহমান রাজশাহীতে ঋণের চাপে স্ত্রী-সন্তান হত্যার পর দিনমজুরের আত্মহত্যা

ফিলিস্তিনে রক্তাক্ত বাস্তবতা: গাজা–পশ্চিম তীরে মৃত্যু আর মানবিক বিপর্যয়

Correspondent:
  • Update : 06:19:21 pm, Friday, 18 July 2025 26 Views

ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরজুড়ে আবারও নেমে এসেছে মৃত্যু আর ধ্বংসের ছায়া। ইসরায়েলি হামলা এবং বসতিদারদের সহিংসতায় গত কয়েক দিনে অসংখ্য প্রাণ ঝরে গেছে। বাড়ছে খাদ্যসংকট, চিকিৎসাসেবা ভেঙে পড়েছে, আশ্রয়হীন মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এই পরিস্থিতিকে ‘সম্পূর্ণ মানবিক বিপর্যয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করছে।

গাজায় বিমান ও ড্রোন হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৯০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শিশু, নারী, বয়স্ক কেউই রেহাই পাননি। একটি গির্জা ও আশেপাশের আশ্রয়কেন্দ্রেও হামলা চালানো হয়েছে। বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে পশ্চিম তীরে ২০ বছর বয়সী এক তরুণ ফিলিস্তিনি–আমেরিকানকে হত্যার ঘটনায় উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বসতিদারদের হামলায় বহু ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফিলিস্তিনি গ্রামগুলো কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।

গাজায় বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই, ওষুধ নেই। হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন ও চিকিৎসা সামগ্রীর সংকটে রোগীরা মারা যাচ্ছেন। শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগছে, বিশুদ্ধ পানির অভাবে ছড়িয়ে পড়ছে রোগ। মানবিক সহায়তা বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, তাদের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে ইসরায়েল নতুন করে ভিসা দেয়নি, ফলে ত্রাণ কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ জোরালো হচ্ছে। অনেক দেশ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা একে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করছে। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, “এই যুদ্ধ বন্ধ না হলে তা শুধুই মৃত্যু নয়, মানবতার পরাজয় ডেকে আনবে।”

ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতি শুধু একটি যুদ্ধ নয়, এটি এক ভয়াবহ মানবিক সংকট। এই রক্তপাত বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের জরুরি ও কার্যকর হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি। একটি ন্যায়সঙ্গত শান্তির জন্য লক্ষ কোটি মানুষ অপেক্ষা করছে—একটি নিরাপদ জীবনের আশায়।

Share This News

Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save your email and other information.

Uploader information
Tags :
UPDATE :

ফিলিস্তিনে রক্তাক্ত বাস্তবতা: গাজা–পশ্চিম তীরে মৃত্যু আর মানবিক বিপর্যয়

Update : 06:19:21 pm, Friday, 18 July 2025

ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরজুড়ে আবারও নেমে এসেছে মৃত্যু আর ধ্বংসের ছায়া। ইসরায়েলি হামলা এবং বসতিদারদের সহিংসতায় গত কয়েক দিনে অসংখ্য প্রাণ ঝরে গেছে। বাড়ছে খাদ্যসংকট, চিকিৎসাসেবা ভেঙে পড়েছে, আশ্রয়হীন মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এই পরিস্থিতিকে ‘সম্পূর্ণ মানবিক বিপর্যয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করছে।

গাজায় বিমান ও ড্রোন হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৯০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শিশু, নারী, বয়স্ক কেউই রেহাই পাননি। একটি গির্জা ও আশেপাশের আশ্রয়কেন্দ্রেও হামলা চালানো হয়েছে। বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে পশ্চিম তীরে ২০ বছর বয়সী এক তরুণ ফিলিস্তিনি–আমেরিকানকে হত্যার ঘটনায় উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বসতিদারদের হামলায় বহু ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফিলিস্তিনি গ্রামগুলো কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।

গাজায় বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই, ওষুধ নেই। হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন ও চিকিৎসা সামগ্রীর সংকটে রোগীরা মারা যাচ্ছেন। শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগছে, বিশুদ্ধ পানির অভাবে ছড়িয়ে পড়ছে রোগ। মানবিক সহায়তা বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, তাদের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে ইসরায়েল নতুন করে ভিসা দেয়নি, ফলে ত্রাণ কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ জোরালো হচ্ছে। অনেক দেশ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা একে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করছে। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, “এই যুদ্ধ বন্ধ না হলে তা শুধুই মৃত্যু নয়, মানবতার পরাজয় ডেকে আনবে।”

ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতি শুধু একটি যুদ্ধ নয়, এটি এক ভয়াবহ মানবিক সংকট। এই রক্তপাত বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের জরুরি ও কার্যকর হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি। একটি ন্যায়সঙ্গত শান্তির জন্য লক্ষ কোটি মানুষ অপেক্ষা করছে—একটি নিরাপদ জীবনের আশায়।