Dhaka 5:58 pm, Wednesday, 10 September 2025
Notice::
আপনার বিজ্ঞাপন দিন।।। আমাদের সাথেই থাকুন..., Shadhin Holdings Ltd. , Land Wanted (Purchase Only) ,  We are purchasing suitable land in Bangladesh for our upcoming development projects  ,  Preference: Prime & Potential Locations ,  Contact: +880 2-47120428 ,  Email: shadhinholdings1@gmail.com,   Shadhin Holdings Ltd., সারা দেশে জমি ও সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়, রাজধানী ও জেলার প্রিমিয়াম লোকেশনে জমি,  ফ্ল্যাট, বাড়ি ও বাণিজ্যিক প্লট,  ১০০% নিরাপদ লেনদেন ও আইনগত সহায়তা,  আপনার বাজেট অনুযায়ী সেরা প্রপার্টি, জমি বা সম্পত্তি কিনতে চান? বিক্রি করতে চান? আপনার বিশ্বস্ত সঙ্গী Shadhin Holdings Ltd.,যোগাযোগ করুন আজই: ফোন: +880 2-47120428,  ইমেইল: shadhinholdings1@gmail.com
Breaking News ::
একবিংশ শতাব্দীতে মধ্যযুগীয় বর্বরতা  তারেক রহমানের নির্দেশে বোরহানউদ্দিন পৌর বিএনপির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ঐক্যের বার্তায় বোরহানউদ্দিনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বোরহানউদ্দিনে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচি গাইবান্ধায় নববধূকে বাসর রাতে দলবদ্ধ ধর্ষণ, স্বামীসহ ৭ জন আটক তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছে, বন্যার শঙ্কা উত্তরাঞ্চলে কাকরাইলে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের সংঘর্ষ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা: ফেব্রুয়ারিতে হবে জাতীয় নির্বাচন, আমি কোনো পদে থাকব না সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জাতি ঐক্যবদ্ধ: তারেক রহমান রাজশাহীতে ঋণের চাপে স্ত্রী-সন্তান হত্যার পর দিনমজুরের আত্মহত্যা

পূর্ব ইউক্রেনে রুশ নিয়ন্ত্রণ বিস্তার: পাল্টা আঘাতে কেঁপে উঠল ইউক্রেনের হৃদয়ভূমি

Correspondent:
  • Update : 07:43:25 am, Thursday, 3 July 2025 30 Views

ইউক্রেন যুদ্ধ চতুর্থ বর্ষে পা রেখেছে, আর এই সময়েই রাশিয়া আবারও দেখিয়েছে সামরিক কৌশল ও ধৈর্যের এক দৃঢ় প্রদর্শন। সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে রুশ বাহিনী উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। পোকরোভস্ক, কস্তিয়ানতিনিভকা ও লুহানস্ক অঞ্চলে রাশিয়া দাবি করছে, “এই ভূমি এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে।” যদিও ইউক্রেন তা অস্বীকার করছে, বাস্তবতা হলো—মাঠে রাশিয়ার কৌশল অনেকটাই সফল।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, জুন মাসে ইউক্রেনের ৫৫৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করা হয়েছে, যা গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় সাফল্য। রাশিয়ার দাবি, তারা ধাপে ধাপে এগোচ্ছে, এবং এই অগ্রগতি শুধুই সামরিক নয়, বরং স্থানীয় জনগণের ‘রক্ষার জন্য’ পরিচালিত একটি অভিযান।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, “আমরা শুধু রাশিয়াকে নয়, রুশভাষী জনগণকেও রক্ষা করছি—যাদের বহু বছর ধরে ইউক্রেন সরকার নিপীড়ন করে আসছে।” মস্কোর দৃষ্টিতে ডনবাস বা লুহানস্ক শুধু কৌশলগত নয়—এটি ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক দায়বদ্ধতার অংশ।

অন্যদিকে, ইউক্রেনের কিছু অঞ্চলে সামরিক সহায়তা স্থগিত হয়ে যাওয়ায় রাশিয়ার জন্য কৌশলগত সুযোগ তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেরিতে আসা সহায়তা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা দুর্বল করে তুলেছে, বিশেষ করে আকাশ প্রতিরক্ষায়।

এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া তাদের সামরিক প্রযুক্তি ও মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে। ইরান থেকে ড্রোন এবং উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য সহায়তা নিয়ে আলোচনা চললেও, মস্কো তা প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি। তবে বাস্তবতা হলো—রাশিয়া একা নয়; বরং একটি নতুন শক্তির জোট তৈরি করছে।

রাশিয়ার সমর্থক বিশ্লেষকরা বলছেন, “এই যুদ্ধ শুধু ইউক্রেনের নয়, বরং পশ্চিমা আধিপত্যের বিরুদ্ধে এক প্রতিরোধ।” তাদের মতে, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো রাশিয়ার সীমান্তে এসে দাঁড়ায়, তখন এই প্রতিক্রিয়া শুধু স্বাভাবিক নয়, বরং সময়ের দাবি।

তবে, রাশিয়ার এই অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে মতভেদ রয়েছে। কেউ এটিকে আগ্রাসন বলে, কেউ বলছে ‘নতুন শীতল যুদ্ধ’-এর সূচনা। তবে যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়া বর্তমানে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে, এবং ইউক্রেনের প্রতিরোধ এখনো শক্ত হলেও কিছুটা দুর্বল হয়েছে—বিশেষ করে সমরাস্ত্র ঘাটতির কারণে

Share This News

Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save your email and other information.

Uploader information
Tags :
UPDATE :

পূর্ব ইউক্রেনে রুশ নিয়ন্ত্রণ বিস্তার: পাল্টা আঘাতে কেঁপে উঠল ইউক্রেনের হৃদয়ভূমি

Update : 07:43:25 am, Thursday, 3 July 2025

ইউক্রেন যুদ্ধ চতুর্থ বর্ষে পা রেখেছে, আর এই সময়েই রাশিয়া আবারও দেখিয়েছে সামরিক কৌশল ও ধৈর্যের এক দৃঢ় প্রদর্শন। সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে রুশ বাহিনী উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। পোকরোভস্ক, কস্তিয়ানতিনিভকা ও লুহানস্ক অঞ্চলে রাশিয়া দাবি করছে, “এই ভূমি এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে।” যদিও ইউক্রেন তা অস্বীকার করছে, বাস্তবতা হলো—মাঠে রাশিয়ার কৌশল অনেকটাই সফল।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, জুন মাসে ইউক্রেনের ৫৫৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করা হয়েছে, যা গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় সাফল্য। রাশিয়ার দাবি, তারা ধাপে ধাপে এগোচ্ছে, এবং এই অগ্রগতি শুধুই সামরিক নয়, বরং স্থানীয় জনগণের ‘রক্ষার জন্য’ পরিচালিত একটি অভিযান।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, “আমরা শুধু রাশিয়াকে নয়, রুশভাষী জনগণকেও রক্ষা করছি—যাদের বহু বছর ধরে ইউক্রেন সরকার নিপীড়ন করে আসছে।” মস্কোর দৃষ্টিতে ডনবাস বা লুহানস্ক শুধু কৌশলগত নয়—এটি ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক দায়বদ্ধতার অংশ।

অন্যদিকে, ইউক্রেনের কিছু অঞ্চলে সামরিক সহায়তা স্থগিত হয়ে যাওয়ায় রাশিয়ার জন্য কৌশলগত সুযোগ তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেরিতে আসা সহায়তা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা দুর্বল করে তুলেছে, বিশেষ করে আকাশ প্রতিরক্ষায়।

এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া তাদের সামরিক প্রযুক্তি ও মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে। ইরান থেকে ড্রোন এবং উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য সহায়তা নিয়ে আলোচনা চললেও, মস্কো তা প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি। তবে বাস্তবতা হলো—রাশিয়া একা নয়; বরং একটি নতুন শক্তির জোট তৈরি করছে।

রাশিয়ার সমর্থক বিশ্লেষকরা বলছেন, “এই যুদ্ধ শুধু ইউক্রেনের নয়, বরং পশ্চিমা আধিপত্যের বিরুদ্ধে এক প্রতিরোধ।” তাদের মতে, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো রাশিয়ার সীমান্তে এসে দাঁড়ায়, তখন এই প্রতিক্রিয়া শুধু স্বাভাবিক নয়, বরং সময়ের দাবি।

তবে, রাশিয়ার এই অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে মতভেদ রয়েছে। কেউ এটিকে আগ্রাসন বলে, কেউ বলছে ‘নতুন শীতল যুদ্ধ’-এর সূচনা। তবে যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়া বর্তমানে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে, এবং ইউক্রেনের প্রতিরোধ এখনো শক্ত হলেও কিছুটা দুর্বল হয়েছে—বিশেষ করে সমরাস্ত্র ঘাটতির কারণে