তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছে, বন্যার শঙ্কা উত্তরাঞ্চলে

- Update : 09:53:34 pm, Saturday, 30 August 2025 16 Views

তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছে, বন্যার শঙ্কা উত্তরাঞ্চলে
উত্তরাঞ্চলের নদীগুলো আবারও অস্থির হয়ে উঠছে। বিশেষ করে তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে আসায় রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও গাইবান্ধায় নতুন করে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, যেকোনো মুহূর্তে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্যমতে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে তিস্তার পানি সতর্ক সীমায় প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। তবে দুই থেকে তিন দিন পর পানি স্থিতিশীল থাকার সম্ভাবনার কথাও জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে বন্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
এর আগে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে তিস্তা বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হয়েছিল। তখন লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও গাইবান্ধার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়। ফসলি জমি ও মাছের খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি গঙ্গাচড়া সেতুর সুরক্ষা বাঁধের অংশবিশেষ ভেঙে গিয়ে মহাসড়ক হুমকিতে পড়ে।
বর্তমানে নদীর তীরবর্তী এলাকায় আমন ধানের মৌসুম চলছে। আবারও বন্যা দেখা দিলে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি আগামী তিন দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে, পরে তা বাড়তে পারে। গঙ্গার পানি পাঁচ দিন পর্যন্ত এবং পদ্মার পানি তিন দিন পর্যন্ত স্থিতিশীল থেকে এরপর বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, শনিবার সকালে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানির উচ্চতা ছিল বিপৎসীমার মাত্র ১৫ সেন্টিমিটার নিচে। একই সময়ে কাউনিয়া পয়েন্টেও পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছিল।
স্থানীয়দের শঙ্কা, যদি এভাবে পানি বাড়তে থাকে তবে উত্তরাঞ্চলে আবারও ভয়াবহ বন্যা দেখা দিতে পারে।