Dhaka 5:59 pm, Wednesday, 10 September 2025
Notice::
আপনার বিজ্ঞাপন দিন।।। আমাদের সাথেই থাকুন..., Shadhin Holdings Ltd. , Land Wanted (Purchase Only) ,  We are purchasing suitable land in Bangladesh for our upcoming development projects  ,  Preference: Prime & Potential Locations ,  Contact: +880 2-47120428 ,  Email: shadhinholdings1@gmail.com,   Shadhin Holdings Ltd., সারা দেশে জমি ও সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়, রাজধানী ও জেলার প্রিমিয়াম লোকেশনে জমি,  ফ্ল্যাট, বাড়ি ও বাণিজ্যিক প্লট,  ১০০% নিরাপদ লেনদেন ও আইনগত সহায়তা,  আপনার বাজেট অনুযায়ী সেরা প্রপার্টি, জমি বা সম্পত্তি কিনতে চান? বিক্রি করতে চান? আপনার বিশ্বস্ত সঙ্গী Shadhin Holdings Ltd.,যোগাযোগ করুন আজই: ফোন: +880 2-47120428,  ইমেইল: shadhinholdings1@gmail.com
Breaking News ::
একবিংশ শতাব্দীতে মধ্যযুগীয় বর্বরতা  তারেক রহমানের নির্দেশে বোরহানউদ্দিন পৌর বিএনপির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ঐক্যের বার্তায় বোরহানউদ্দিনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বোরহানউদ্দিনে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচি গাইবান্ধায় নববধূকে বাসর রাতে দলবদ্ধ ধর্ষণ, স্বামীসহ ৭ জন আটক তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছে, বন্যার শঙ্কা উত্তরাঞ্চলে কাকরাইলে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের সংঘর্ষ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা: ফেব্রুয়ারিতে হবে জাতীয় নির্বাচন, আমি কোনো পদে থাকব না সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জাতি ঐক্যবদ্ধ: তারেক রহমান রাজশাহীতে ঋণের চাপে স্ত্রী-সন্তান হত্যার পর দিনমজুরের আত্মহত্যা

গাজায় রক্তের নদী: যুদ্ধবিরতির আশা, কিন্তু রক্তপাত থামছে না

Correspondent:
  • Update : 07:35:32 am, Thursday, 3 July 2025 27 Views

গাজা উপত্যকায় ফের শুরু হয়েছে অগ্নিবর্ষণ ও রক্তপাতের ভয়াল দৃশ্য। ইসরায়েলের লাগাতার বিমান হামলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১১১ জন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। উত্তরের একটি উপকূলীয় ক্যাফেতে চালানো হামলায় একাই নিহত হন অন্তত ৩৯ জন; ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে পড়ে রক্ত ও ধ্বংসাবশেষ।

এই ভয়াবহতার মধ্যেই আলোচনার মেঘে দেখা দিয়েছে একটুখানি আশার আলো। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ৬০ দিনের একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে, তবে শর্তসাপেক্ষে। ইসরায়েল স্পষ্ট বলেছে, যুদ্ধের শেষে হামাসের কোনো অবস্থান গাজায় থাকতে পারবে না। হামাস এই প্রস্তাবকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে, যদিও এখনও চূড়ান্ত কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, “হামাস যতক্ষণ গাজায় থাকবে, ততক্ষণ যুদ্ধও চলবে।” এই অবস্থানে যেমন শান্তির সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনি রয়েছে নতুন করে সংঘর্ষের ভয়। কারণ, হামাসও নিজেদের অস্তিত্বের প্রশ্নে আপস করতে রাজি নয়।

এদিকে গাজার মানবিক অবস্থা চরম বিপর্যয়ের দিকে। ধ্বংস হয়েছে বাড়িঘর, হাসপাতাল, স্কুল—চিকিৎসা, পানি ও খাদ্যের তীব্র সংকটে দিন কাটাচ্ছে লাখো মানুষ। ধ্বংসস্তূপের নিচে পাওয়া যাচ্ছে শিশুদের নিথর দেহ, পিতার আর্তনাদে কাঁপছে আকাশ।

আন্তর্জাতিক মহল থেকে বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হলেও মাঠে এখনো চলছে গোলাবর্ষণ। জাতিসংঘ বলছে, “গাজা এখন এক মানবিক বিপর্যয়ের কেন্দ্রস্থল।”

এই যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ, কূটনৈতিক কৌশল আর অমানবিক নিষ্ঠুরতা—আর মাঝখানে পড়ে আছে এক জর্জরিত জাতি, যারা শুধু বাঁচতে চায়। শান্তির সম্ভাবনা দিগন্তে দেখা দিলেও, বাস্তবতা এখনো রক্তমাখা এক যাত্রাপথ।

Share This News

Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save your email and other information.

Uploader information
Tags :
UPDATE :

গাজায় রক্তের নদী: যুদ্ধবিরতির আশা, কিন্তু রক্তপাত থামছে না

Update : 07:35:32 am, Thursday, 3 July 2025

গাজা উপত্যকায় ফের শুরু হয়েছে অগ্নিবর্ষণ ও রক্তপাতের ভয়াল দৃশ্য। ইসরায়েলের লাগাতার বিমান হামলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১১১ জন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। উত্তরের একটি উপকূলীয় ক্যাফেতে চালানো হামলায় একাই নিহত হন অন্তত ৩৯ জন; ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে পড়ে রক্ত ও ধ্বংসাবশেষ।

এই ভয়াবহতার মধ্যেই আলোচনার মেঘে দেখা দিয়েছে একটুখানি আশার আলো। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ৬০ দিনের একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে, তবে শর্তসাপেক্ষে। ইসরায়েল স্পষ্ট বলেছে, যুদ্ধের শেষে হামাসের কোনো অবস্থান গাজায় থাকতে পারবে না। হামাস এই প্রস্তাবকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে, যদিও এখনও চূড়ান্ত কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, “হামাস যতক্ষণ গাজায় থাকবে, ততক্ষণ যুদ্ধও চলবে।” এই অবস্থানে যেমন শান্তির সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনি রয়েছে নতুন করে সংঘর্ষের ভয়। কারণ, হামাসও নিজেদের অস্তিত্বের প্রশ্নে আপস করতে রাজি নয়।

এদিকে গাজার মানবিক অবস্থা চরম বিপর্যয়ের দিকে। ধ্বংস হয়েছে বাড়িঘর, হাসপাতাল, স্কুল—চিকিৎসা, পানি ও খাদ্যের তীব্র সংকটে দিন কাটাচ্ছে লাখো মানুষ। ধ্বংসস্তূপের নিচে পাওয়া যাচ্ছে শিশুদের নিথর দেহ, পিতার আর্তনাদে কাঁপছে আকাশ।

আন্তর্জাতিক মহল থেকে বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হলেও মাঠে এখনো চলছে গোলাবর্ষণ। জাতিসংঘ বলছে, “গাজা এখন এক মানবিক বিপর্যয়ের কেন্দ্রস্থল।”

এই যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ, কূটনৈতিক কৌশল আর অমানবিক নিষ্ঠুরতা—আর মাঝখানে পড়ে আছে এক জর্জরিত জাতি, যারা শুধু বাঁচতে চায়। শান্তির সম্ভাবনা দিগন্তে দেখা দিলেও, বাস্তবতা এখনো রক্তমাখা এক যাত্রাপথ।