Dhaka 12:43 pm, Tuesday, 8 July 2025
Notice::
  • আমাদের সাথেই থাকুন।।।   আপনার বিজ্ঞাপন দিন
Breaking News ::

কেনিয়ায় গণতন্ত্র দিবসে পুলিশের গুলি — নিহত অন্তত ১০

Correspondent:
  • Update : 07:02:28 am, Tuesday, 8 July 2025 1 Views

নাইরোবিতে গণতন্ত্র দিবস ‘সাবা সাবা’ উপলক্ষে আয়োজিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ রক্তাক্ত সংঘর্ষে রূপ নেয়। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০ জন, আহত হয়েছেন আরও অনেকে। রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, জলকামান এবং সরাসরি গুলি ব্যবহার করে।

‘সাবা সাবা’ দিবসটি কেনিয়ায় ১৯৯০ সালের ঐতিহাসিক গণআন্দোলনের স্মরণে পালন করা হয়। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৯২ সালে দেশটিতে বহুদলীয় নির্বাচন চালু হয়। এবারের ৩৫তম বার্ষিকীতেও বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছেন তরুণরা।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, গত মাসে পুলিশি হেফাজতে ব্লগার ও শিক্ষক আলবার্ট ওজওয়াংয়ের মৃত্যুই এই আন্দোলনের মূল প্রেরণা। তরুণ-নেতৃত্বাধীন এই প্রতিবাদ বর্তমানে পরিচিত ‘Gen Z Uprising’ নামে।

কেনিয়া মানবাধিকার কমিশনের (KNCHR) তথ্যমতে, শুধু নাইরোবিতেই প্রাণহানি ছাড়াও আহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি করছে স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিপচুম্বা মুরকমেন বলেন, “জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।” তবে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ‘লাইভ ফায়ার’ চালানো হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এক বিক্ষোভকারী বলেন,

> “আমরা আর চুপ থাকতে চাই না। আমাদের অধিকারের জন্য যদি আমরাই না লড়ি, তবে লড়বে কে?”

বিশ্লেষকদের মতে, এবারের সাবা সাবা দিবস শুধুই একটি ঐতিহাসিক স্মরণ নয়—এটি কেনিয়ার তরুণ সমাজের ভেতরে জমে থাকা ক্ষোভ ও পরিবর্তনের আহ্বান।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স, এপি, কেনিয়া মানবাধিকার কমিশন (KNCHR)

Share This News

Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save your email and other information.

Uploader information
Tags :
UPDATE :

কেনিয়ায় গণতন্ত্র দিবসে পুলিশের গুলি — নিহত অন্তত ১০

Update : 07:02:28 am, Tuesday, 8 July 2025

নাইরোবিতে গণতন্ত্র দিবস ‘সাবা সাবা’ উপলক্ষে আয়োজিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ রক্তাক্ত সংঘর্ষে রূপ নেয়। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০ জন, আহত হয়েছেন আরও অনেকে। রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, জলকামান এবং সরাসরি গুলি ব্যবহার করে।

‘সাবা সাবা’ দিবসটি কেনিয়ায় ১৯৯০ সালের ঐতিহাসিক গণআন্দোলনের স্মরণে পালন করা হয়। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৯২ সালে দেশটিতে বহুদলীয় নির্বাচন চালু হয়। এবারের ৩৫তম বার্ষিকীতেও বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছেন তরুণরা।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, গত মাসে পুলিশি হেফাজতে ব্লগার ও শিক্ষক আলবার্ট ওজওয়াংয়ের মৃত্যুই এই আন্দোলনের মূল প্রেরণা। তরুণ-নেতৃত্বাধীন এই প্রতিবাদ বর্তমানে পরিচিত ‘Gen Z Uprising’ নামে।

কেনিয়া মানবাধিকার কমিশনের (KNCHR) তথ্যমতে, শুধু নাইরোবিতেই প্রাণহানি ছাড়াও আহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি করছে স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিপচুম্বা মুরকমেন বলেন, “জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।” তবে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ‘লাইভ ফায়ার’ চালানো হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এক বিক্ষোভকারী বলেন,

> “আমরা আর চুপ থাকতে চাই না। আমাদের অধিকারের জন্য যদি আমরাই না লড়ি, তবে লড়বে কে?”

বিশ্লেষকদের মতে, এবারের সাবা সাবা দিবস শুধুই একটি ঐতিহাসিক স্মরণ নয়—এটি কেনিয়ার তরুণ সমাজের ভেতরে জমে থাকা ক্ষোভ ও পরিবর্তনের আহ্বান।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স, এপি, কেনিয়া মানবাধিকার কমিশন (KNCHR)