গ্রীনল্যান্ড গার্মেন্টস লিমিটেডে খন্ডকালীন কাজ করতে গিয়ে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারালেন ১৮ বছর বয়সী তরুণ হৃদয়। নিহত হৃদয় টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন।
হৃদয় দীর্ঘদিন ধরে ইলেকট্রিক ও মেকানিক্যাল কাজ করতেন। মাঝে মাঝে গ্রীনল্যান্ড গার্মেন্টসের বয়লার সেকশনে যান্ত্রিক কাজের জন্য ডেকে পাঠানো হতো। ২৭ জুন রাতে তাকে আবারও ডাকা হয়। এরপর রাতে তিনি আর ফেরেননি।
পরদিন সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে কাপড়ে মোড়া অবস্থায় হৃদয়ের মরদেহ পাঠানোর চেষ্টা করে কর্তৃপক্ষ। তখন ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের সন্দেহ হলে, তারা বাধা দেন।
প্রতিষ্ঠান দাবি করে—“দেয়াল বেয়ে উঠতে গিয়ে পড়ে আহত হয়েছে এক চোর।” কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায়, সেই ‘চোর’ আসলে হৃদয়—যে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে।
হৃদয়ের মা খোদেজা বেগম জানান, রাত ৩টা থেকে ৬টার মধ্যে ফ্যাক্টরির ভেতরে কিছু লোক মিলে হৃদয়কে মারধর করে হত্যা করেছে।
এই খবরে ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে উৎপাদন বন্ধ রেখে সবাই জড়ো হয়। পরে অন্যান্য কারখানাতেও শ্রমিকরা ছড়িয়ে পড়ে এবং কাজে বাধা দেয়।
ছুটি ঘোষণা না করায় বিকেলের দিকে প্রায় দেড়শ’ শ্রমিক ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ী ফ্লাইওভার এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে। ধীরে ধীরে সেখানে হাজারো মানুষ জড়ো হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে কোনাবাড়ী থানা ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং শ্রমিকদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানায়।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। শ্রমিকদের দাবি—হৃদয়ের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ হারিজ ইসলাম স্বাধীন
Design & Development By HosterCube Ltd.