গত বছর ২০২৪ সালের গণআন্দোলনের সময় দেশে ব্যাপক সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছিল। ওই আন্দোলনের সময় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, যানবাহন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন ধরনের আইন-শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। এর প্রেক্ষিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়, যার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার তিনজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে যে, ওই আন্দোলনের সময় তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য প্রদান করেছেন এবং জনমনে উত্তেজনা ছড়ানোর মাধ্যমে সহিংসতা উস্কানির চেষ্টা করেছেন। এসব কাজ আইন অনুসারে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ ও ‘আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ’ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
বর্তমানে মামলার প্রাথমিক তদন্ত চলছে। পুলিশ ও তদন্তকারী সংস্থা তথ্য সংগ্রহ, সাক্ষ্যগ্রহণ ও ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহে কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, শিগগিরই চার্জশিট দাখিলের মাধ্যমে আদালতে বিষয়টি আনুষ্ঠানিক করা হবে। এছাড়া, মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষে ও বিরোধীদলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে নানা বিবৃতি প্রকাশ পাচ্ছে, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই মামলা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। কারণ এটি শুধু একটি আইনি প্রক্রিয়া নয়, বরং একটি রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবেও দেখা হচ্ছে। দেশের সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই ধরনের মামলার মাধ্যমে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দেশের স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন হতে পারে।
সরকার জানিয়েছে, আইনের শাসন অক্ষুণ্ণ রাখতে ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে তারা তদন্তে পূর্ণ স্বচ্ছতা ও ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখবে। পাশাপাশি, তারা দেশব্যাপী শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় কাজ করবে।
সম্পাদক: মাহমুদুল হাছান চৌধুরী
Design & Development By HosterCube Ltd.