ঢাকা: ২০২৫ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেও কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশ ধীরে ধীরে স্থিতিশীল ও শক্তিশালী অর্থনৈতিক পথে এগোচ্ছে।
দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে শিল্পখাতের ধীরগতির কারণে প্রবৃদ্ধি সীমিত। পোশাক শিল্পসহ কিছু প্রধান শিল্পের উৎপাদন এখনও পূর্ণ ক্ষমতায় পৌঁছায়নি। এ কারণে ২০২৫ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আনুমানিক ৪ শতাংশের কাছাকাছি হতে পারে।
খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। চলতি বছরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি প্রায় ৯ শতাংশের আশেপাশে রয়েছে। সরকারের লক্ষ্য, এই হার জুন নাগাদ ৭ শতাংশের মধ্যে নামানো।
কৃষিক্ষেত্রে বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব এখনো কাটানো যায়নি। যদি বীজ, সার, সেচ ও কৃষিঋণ সহজলভ্য না হয়, তাহলে কৃষি উৎপাদন স্থবির হয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৩৬তম বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে। ২০২৫ সালে দেশের জিডিপি প্রায় ৪৮১ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পৌঁছাবে।
তৈরি পোশাক খাত দেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা দিচ্ছে। রপ্তানিতে এই খাত দেশের মোট আয় ৮০ শতাংশের বেশি প্রদান করছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে, বছরে প্রায় ৩৬০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিল্পখাতের ধীর প্রবৃদ্ধি ও ক্রয়ক্ষমতার সংকোচন মূল চ্যালেঞ্জ। তবে সরকারি নীতি, শিল্পায়ন ও রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রাখে।
চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমশ অগ্রগতির পথে এগোচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও স্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ হারিজ ইসলাম স্বাধীন
Design & Development By HosterCube Ltd.