অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, স্বাধীন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন আমাদের অগ্রাধিকার, প্রবাসী ভোটারসহ সকল নাগরিক ভোটের সুযোগ পাবেন
গত বছরের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ চালিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়েছিল। এর পর ক্ষমতার শূন্যতার সময় ছাত্রনেতারা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হতে অনুরোধ করেন। প্রথমে তিনি রাজি না হলেও তরুণদের ত্যাগের কথা ভেবেই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট তিনি সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে শপথ নেন।
ড. ইউনূস বলেন, “আমি স্পষ্ট করেছি: জাতীয় নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারিতে হবে। নির্বাচনের পর যে সরকার আসবে, সেখানে আমি কোনো নির্বাচিত বা নিয়ুক্ত পদে থাকব না। আমাদের প্রশাসনের মূল লক্ষ্য হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করা। যেখানে সব রাজনৈতিক দল ভোটারদের কাছে তাদের পরিকল্পনা তুলে ধরতে পারবে, এবং দেশ-বিদেশে থাকা সকল যোগ্য নাগরিক ভোট দিতে পারবে।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একাধিক উদ্যোগের মধ্যে অন্যতম হলো গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং স্বৈরাচারী সরকারের লুট করা অর্থ উদ্ধারে অগ্রগতি।
ড. ইউনূস আরও বলেন, দেশের প্রশাসন পুনর্গঠন, রাজনৈতিক দলগুলোর সংমিশ্রণ এবং নিরাপত্তা ও আইনের শৃঙ্খলা পুনঃস্থাপন আমাদের অগ্রাধিকার। দেশের পররাষ্ট্রনীতিতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সহযোগীরা এ পথে সহায়তা করছে।
এক বিস্তৃত সংস্কার প্রস্তাবও তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি সাংবিধানিক সংশোধনী, যাতে বাংলাদেশ আর কখনো স্বৈরাচারী শাসনের শিকার না হয়। ড. ইউনূস মনে করেন, দেশের মানুষের সাহস, দৃঢ়তা ও কল্পনার কারণে বাংলাদেশ একটি নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ হারিজ ইসলাম স্বাধীন
Design & Development By HosterCube Ltd.