ঢাকা: বর্ষা শুরু হতেই আবারও চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু। চারদিকে মশার উপদ্রব বেড়েছে, আর সেই সঙ্গে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যাও। দেশের নানা জায়গায় প্রতিদিন নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে শত শত মানুষ। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর ভিড়, কোথাও কোথাও মিলছে না পর্যাপ্ত শয্যাও।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ, আর মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৪৪ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪১৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং একজন মারা গেছেন।
এই রোগ এখন শুধু ঢাকাতেই সীমাবদ্ধ নেই। বরিশাল, খুলনা, রাজশাহীসহ অন্যান্য বিভাগেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গ্রামীণ হাসপাতালে রোগীর চাপও বাড়ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, “সংক্রমণের মাত্রা যদি এভাবে বাড়তেই থাকে, তাহলে পরিস্থিতি আবার ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।” কারণ জুন মাসেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৬ হাজার মানুষ, যা আগের মাসের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
সরকার মশক নিধনে কিছু উদ্যোগ নিয়েছে, তবে বাস্তবে তা অনেক জায়গায় চোখে পড়ছে না। অনেক সড়কে ড্রেন ভরা, বাড়ির আঙিনায় জমে আছে পানি—সবই ডেঙ্গুর উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে ইতিবাচক দিক হলো, চীন সরকার ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মশকনাশক ও পরীক্ষার সরঞ্জাম।
সরকারি হাসপাতালগুলোতে চালু হয়েছে ডেঙ্গু ইউনিট, কিন্তু রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় অনেক জায়গায় শয্যার সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে অবস্থা আরও সংকটজনক।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়
✅ বাড়ির আশপাশে জমে থাকা পানি পরিষ্কার রাখতে হবে
✅ ফুলদানি, ডাবের খোসা, টায়ার বা টবে পানি জমতে দেওয়া যাবে না
✅ শরীরে জ্বর বা ব্যথা দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে
✅ দিনের বেলা মশারি ব্যবহার ও পুরো শরীর ঢেকে রাখার পোশাক পরা উচিত
✅ স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণ একসঙ্গে মশক নিধনে কাজ করতে হবে
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ হারিজ ইসলাম স্বাধীন
Design & Development By HosterCube Ltd.